নিউজ ডেস্কঃ-  

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল ২৮শে সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রামের ‘আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের সেন্ট্রাল মসজিদে বাদ মাগরিব দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উক্ত দোয়ার মাহফিল সফল করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মী বৃন্দ চট্টগ্রাম শহর ও তার আসপাশের এলাকা থেকে কুমিরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন।
এতে ভার্সিটির পাশে অবস্থিত এতিম খানার কিছু ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগরিবের সময় ঘনিয়ে আসলে নামাজ পরবর্তী মিলাদ মাহফিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিকিউরিটি গার্ড গেইটে তালা দিয়ে প্রবেশে বাঁধা প্রদান করে। তাদেরকে বারবার নামাজ পড়ার জন্য সুযোগ করে দিতে গেইট খুলতে বললেও তা করেনি।
এব্যাপারে সিকিউরিটি গার্ডদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তালা দিয়ে গেইট বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রক্টরিয়্যাল কমিটি থেকে অনুমতি আসলে তারা তালা খুলে দিবেন। এজন্য প্রোক্টর স্যারের নিকট মুঠোফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কোন প্রকার সাড়া দেননি।
পরবর্তীতে গেইটের বাহিরে সমতল স্থানেই নামাজ ও মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন করা হয়।

এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের ইসলাম ডলার বলেন, “আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে বাঁধা প্রদান করেন। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক ও ঘৃণিত কাজ। এব্যাপারে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”।
সর্বশেষ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ‘তানভীর হোসেন তপু’ কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, “নেত্রীর জন্মদিনে এমন একটা ঘৃণিত কাজ অত্যন্ত দুঃখ জনক”। তিনি আরো বলেন, ” যারা মসজিদে প্রবেশ ও দোয়া মাহফিলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাঁধা প্রদান করেছে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে অতি সন্নিকটে আইনের আওতায় আনা হোক”।